অসহায় বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরালো পুলিশ : পাশে থাকার আশ্বাস

10th August 2020 3:57 pm হুগলী
অসহায় বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরালো পুলিশ : পাশে থাকার আশ্বাস


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  চরম অমানবিকতার ছবি ধরা পড়লো হুগলি জেলার কোন্নগরের নবগ্রাম বিধানপল্লী এলাকায়।ওই এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা কাজল রায় তার দাদা উষা চন্দের বাড়িতে থাকতেন।বৃদ্ধার দাদা প্রাক্তন সেনাকর্মী ও পরে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকর্মী। অসহায় বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বৃদ্ধার দাদা ও বৌদির বিরুদ্ধে।গতকাল বিকালে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।ওই বৃদ্ধাকে অসহায় ভাবে রাস্তায় ঘুরতে দেখেন কিছু স্থানীয় ছাত্রীরা।তারা খবর দেয় কানাইপুর ফাড়ির পুলিশকে।এরপর পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তার দাদার বাড়িতে রেখে আসে।কিন্তু এরপর আবার ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে রাখতে অস্বীকার করে তার দাদা ও বৌদি বলে অভিযোগ। এরপর সোমবার সকালে এই খবর পেয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে পৌঁছায় নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌর মজুমদার ও কানাইপুর ফাড়ির পুলিশ।উপপ্রধানের ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অসহায় বৃদ্ধাকে রাখতে রাজি হয় বৃদ্ধার দাদা বৌদি।যদিও জানা গেছে ওই বাড়িটি বৃদ্ধার ভাইপোর নামে,এবং ভাইপো তার পিসিকে রাখতে রাজি আছে কিন্তু বাবা মায়ের চাপে কিছু করতে পারেনি বলে অভিযোগ।প্রশ্ন উঠছে এই শিক্ষিত সমাজে আর কত দেখতে হবে এরকম অমানবিক ছবি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।